এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া পৌরশহরে চকরিয়া থানারাস্তার মাথা এলাকায় আদালতের ১৪৪ ধারা আদেশ লঙ্ঘন করে গোপনে ভোররাতে মার্কেটের নির্মাণ কাজের চালানো হচ্ছে অভিযোগ বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে গত কয়েকদিন ধরে অভিযুক্ত বিবাদিপক্ষের লোকজন গোপনে মার্কেট ও সিঁিড়র নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলেও থানা পুলিশ আদালতের আদেশ মতে কাজ বন্ধে এব্যাপারে কার্যকর ভুমিকা রাখছেনা বলে অভিযোগ তুলেছেন বাদিপক্ষ।
চকরিয়া থানা রাস্তার মাথাস্থ চিরিঙ্গা মৌজার বিএস ৫৮নং খতিয়ানের ৪০৭ নং দাগের বিরোধীয় জায়গার ব্যাপারে মালিকপক্ষের মৃত মুন্সী মতিয়র রহমানের ছেলে আবুল ফয়েজ গং বাদি হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চলতিবছরের জানুয়ারী মাসে একটি এমআর মামলা (৩৭/১৮) রুজু করেন। মামলায় বিবাদি করা হয় থানা রাস্তার মাথা এলাকাস্থ হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা মৃত করিম দাদের ছেলে খোরশেদ আলমসহ ১১জনকে।
বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক গত ১০ জানুয়ারী মামলার শুনানী শেষে এব্যাপারে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। একই সাথে আদালত বিরোধীয় ওই জায়গায় মামলার পরবর্তী তারিখ ২২ এপ্রিল পর্যন্ত কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে বিবাদিপক্ষকে স্থিতবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন।
মামলার বাদি আবুল ফয়েজের ছেলে মোহাম্মদ আলমমগীর আলম অভিযোগ করেছেন, আদালতের আদেশের পর বিবাদিপক্ষ কিছুদিন মার্কেট ও সিড়িঁর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে অভিযুক্তরা আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে গোপনে রাতের আঁধারে ও ভোরে শ্রমিক দিয়ে মার্কেটের নির্মাণ কাজ এবং সিঁিড়র কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ মতে থানার এসআই আবদুল খালেক আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখভাল করছেন। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ চালানোর বিষয়টি তাকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে রহস্যজনক ভুমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই সুযোগে অভিযুক্তরা আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, উল্লেখিত জায়গার ব্যাপারে ইতোপুর্বে জবরদখল ও হামলার ঘটনায় আবুল ফয়েজ গংয়ের পক্ষে তাঁর ছেলে মো.আলমগীর আলম বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় আটজনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ১০-১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন স্থানীয় আমির হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদিন, সহযোগি রুবেল, মৃত ফজল করিমের ছেলে ইসমাইল, খোরশেদ আলম খুশুর ছেলে ফোরকান, মৃত করিম দাদের ছেলে খোরশেদ আলম খুশু ও শফিআলম, জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী বিলকিছ বেগম ও রুবেলের স্ত্রী বুলবুল আক্তার।
বাদি আলমগীর আলম অভিযোগ করেছেন, মামলার অভিযুক্ত এসব আসামিরা ঘটনার পর থেকে এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাঁরা পুলিশের অভিযানের মুখেও এলাকায় অবস্থান করে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে মার্কেটের জায়গা দখলে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাদি ও তাঁর পরিবারের দাবি, তাঁরা অভিযুক্তদেরকে বাঁধা দিতে সাহস পাচ্ছেনা। কারণ বাঁধা দিতে গেলে উল্টো তাদের উপর হামলা করবে অভিযুক্তরা। এতে বড়ধরণের সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটবে। এ অবস্থায় আদালতের আদেশ মতে মার্কেটের অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ ও আইনশৃঙ্খলার স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে ভুক্তভোগীরা পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##
পাঠকের মতামত: